ক্রাইম টিভি বাংলা অনলাইন ডেস্ক……….. ভারত বায়োটেক উদ্ভাবিত কভিড প্রতিরোধী টিকা কোভ্যাক্সিন আমদানির অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর আগে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটিকে দুই কোটি টিকা সরবরাহের ক্রয়াদেশ দিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু আদর্শ উৎপাদন চর্চার (জিএমপি) নীতিমালার সঙ্গে অসামঞ্জস্যের অভিযোগ তুলে এ টিকা আমদানিতে আপত্তি তুলেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল রেগুলেটরি এজেন্সি (এনআরএ)। খবর এনডিটিভি।বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ শনাক্তের দিক থেকে ব্রাজিলের অবস্থান দ্বিতীয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশকেও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য ভারত বায়োটেকের দুই কোটি ডোজ কোভ্যাক্সিন নিয়ে অনেকটাই উত্সুক ছিলেন দেশটির স্বাস্থ্য খাতসংশ্লিষ্টরা। তবে টিকাটি আমদানিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অস্বীকৃতি এ মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে শঙ্কার উদ্রেক করেছে।ব্রাজিলীয় গণমাধ্যমগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কোভ্যাক্সিন আমদানির অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করে এনআরএ সম্প্রতি একটি গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, আদর্শ উৎপাদন চর্চার নীতির সঙ্গে অসংগতিকে বিবেচনায় নিয়ে কোভ্যাক্সিন আমদানির অনুমোদনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত বায়োটেক এনডিটিভিকে জানিয়েছে, (ব্রাজিলীয়দের) পরিদর্শনের সময়ে যেসব শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেগুলো পূরণ করা হবে। এ নিয়ে ব্রাজিল এনআরএর সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চের সঙ্গে যৌথভাবে কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করছে ভারত বায়োটেক। জানুয়ারিতে টিকাটি ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়। তবে এ অনুমোদনের ক্ষেত্র শুধু পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে পরীক্ষামূলকের বাইরে এসে সর্বসাধারণের ওপর টিকাটির প্রয়োগ শুরু হয় চলতি মাসের প্রথমে। ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা চালিয়ে টিকাটির কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছে ৮১ শতাংশ।ভারত বায়োটেকের দাবি, টিকাটি করোনার ব্রিটিশ ধরনের প্রতিরোধে কার্যকর। অন্যদিকে নভেল করোনাভাইরাসের ধরন বদলে ফেলার পরও টিকাটির উপাদানগত কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন এখনো দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছে ভারত সরকারও।এ পর্যন্ত যেসব দেশ জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরান, নেপাল, মরিশাস, প্যারাগুয়ে ও জিম্বাবুয়ে। এছাড়া ব্রাজিল, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনেও অনুমোদনের আবেদন জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪০টি দেশ কোভ্যাক্সিন নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।