©ক্রাইম টিভি বাংলা অনলাইন ডেস্ক♦
পাত্রের অভাবে হচ্ছে না বিয়ে। গোটা গ্রাম জুড়েই সুন্দরী রমণীদের ভিড়। তবুও হচ্ছে না বিয়ে, মিলছে না পাত্র। গ্রামের মধ্যে এত নারীর সংখ্যা কিন্তু নেই কোনও পুরুষ। ২টি পাহাড়ের মাঝে এই গ্রামের অবস্থান। নোওয়া ডে করডেরিয়ো নামের এই গ্রামে চলছে পাত্রের সন্ধান।
গ্রামের পরিবেশের মতোই নারীদের দিকেও তাকালে চোখ ফেরানো অসম্ভব । কিন্তু তাকানোর লোকেরই বড় অভাব। নেই কোনও পুরুষ। গ্রামের যেদিকেই তাকাও মিলবে শুধু সুদর্শনার খোঁজ। সেসব নারীরাই এবার নেমেছেন পাত্র খোঁজার ময়দানে। আপাতত ৬০০ জনের মধ্যে ৩০০জন রমণী খুঁজছেন পুরুষ সঙ্গী।
সুন্দরী রমণীর স্বামী হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ তাও আবার কোনও শর্ত ছাড়া সেও কি সম্ভব? তাই শর্তাবলী অবশ্যই প্রযোজ্য। শর্ত একটাই স্বামীকেও থাকতে হবে তাঁদের গ্রামেই। গ্রামে থাকার শর্তে যে পুরুষই রাজী হবেন , সে-ই পাবেন বিয়ে করার সুযোগ।
শর্তের পিছনেও কিছু যুক্তি দিয়ে রেখেছেন এই গ্রামের নারীরা। গ্রামের বাইরে তাঁরা বিয়ে করবেন না বলেই তাঁদের দাবি। গ্রামের পুরুষের অভাব, তাই যে পুরুষই থাকবেন তাঁদের গ্রামে তারাই হবেন স্বামী। ৬০০ জন বাসিন্দার মধ্যে মাত্র কিছু নারীই বিবাহিত। কিন্তু গ্রাম ছাড়ার প্রসঙ্গে তাঁরা একই মত রাখেন।
দক্ষিণ পূর্ব ব্রাজিলের এই গ্রামে ১৮ থেকে ৩০ বছরের নারীর সংখ্যাই বেশি। এঁদের মধ্যেই ৫০ শতাংশেরও বেশি কুমারী। কিন্তু এদিকে পাত্র সংকটে বিয়ে অবধি কথা যাওয়া তো দূর বিয়ের প্রসঙ্গেই দাঁড়ি টানতে হচ্ছে তাঁদের। অন্যদিকে অবিবাহিত ছেলে পেতে গেয়েও মুশকিলে পড়ছেন তাঁরা। পাশাপাশি গ্রামের সুন্দরী নারীরা কোনোভাবেই ছেলেদের ওপর নির্ভরশীল নন।
এখানের নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে সাহায্য করছেন মারিয়া সেলেনা ডেলিমা। ১৮৯০ সালে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে এক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন এই গ্রামে। তারপরই তিনি নোওয়া ডে করডেরিয়ো গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর গড়ে তোলার কাজে লিপ্ত হন।