ব্রাজিল মুখি এশিয়ার তিন দেশের নাগরিক – বাংলাদেশ , ভারত ও পাকিস্তান ।
ব্রাজিল ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে অভিবাসন প্রত্যাশী নাগরিকদের মধ্যে এশিয়ার বাংলাদেশ , ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক সবথেকে বেশি । অন্যদিকে ব্রাজিলে বসবাস করে জাপান ও চাইনিজ নাগরিকরা ।
©ক্রাইম টিভি বাংলা অনলাইন ডেস্ক♦
সারা পৃথিবীতে যখন অর্থনৈতিক মন্দা ঠিক সেই সময়ে এশিয়ার কিছু দেশ থেকে ভাগ্য ফেরাতে ব্রাজিল মুখী হচ্ছেন কিছুসংখ্যক মানুষ । তারা নিজেরাও জানেনা আসলে কতটুকু ভাগ্য ফিরবে তাদের । এই মুহূর্তে ইউরোপের উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে তাদের অর্থনীতি নিয়ে । অন্যদিকে বন্ধ করে দিয়েছে অভিবাসী রিসিভ করা। এই মুহূর্তে ইউরোপ ছেড়ে সকলের দৃষ্টি এখন দক্ষিণ আমেরিকার দিকে । কারণ দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিটি দেশে অভিবাসন নীতি খুবই সহজ ।অল্প সময়ে পাওয়া যায় পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ।
ব্রাজিল ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে অভিবাসন প্রত্যাশী নাগরিকদের মধ্যে এশিয়ার বাংলাদেশ , ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক সবথেকে বেশি । অন্যদিকে ব্রাজিলে বসবাস করে জাপান ও চাইনিজ নাগরিকরা । জাপানের বাইরে সবথেকে বেশি বসবাসকারী জাপানি নাগরিকরা বসবাস করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। ব্রাজিলে বৈধ বা অবৈধ পথে প্রবেশ করার পরে অভিবাসী হিসেবে যারা আবেদন করেছেন । তাদের মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ ইতিমধ্যে এদেশের পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি পেয়ে গেছেন । বাকি ১% হয়তো খুব শীঘ্রই পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি পেয়ে যাবেন।
সরকারি একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যারা বিগত সময়ে ব্রাজিলের রেসিডেন্ট পার্মানেন্টলি পাননি তাদের বেশিরভাগই গভমেন্ট কে কোন প্রকার ট্রাক্স দেন না। গত দুই বছরে যারা ব্রাজিলের অবৈধভাবে থেকে কোন প্রকার পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি কার্ড পাননি । তারা সরকারকে কোন প্রকার ট্যাক্স না দিয়ে তারা এদেশে ব্যবসা করে থাকেন অথবা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ করেন ।
দেশের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যদি কোন দেশের নাগরিক ব্রাজিলে এসে রিফিউজি আবেদন করে । সরকারকে দুই বছর টানা ট্যাক্স দিয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে সে ব্রাজিলে অবশ্যই পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি কার্ড পাবেন।গত দেড়মাসে ব্রাজিলে প্রচুর বিদেশি নাগরিক এই সেই ব্যক্তি রিফিউজি আবেদন করেছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই এশিয়ার নাগরিক। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে গত জানুয়ারি মাসে ব্রাজিল ছেড়ে আমেরিকার পথে পা বাড়িয়েছেন প্রচুর অভিবাসী।
বর্তমানে ব্রাজিলে যেসকল অভিবাসী রয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিবার নিয়ে ব্রাজিলে বসবাস করেন। তারা সকলেই স্থায়ীভাবে ব্রাজিলে কোন না কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়ন। ব্রাজিলে অবস্থানরত সফল বাংলাদেশী নাগরিকরা দেশটির বাণিজ্যিক নগরী সাও পাওলো, রাজধানী শহর ব্রাজিলিয়া ও অপরূপ সৌন্দর্যের শহর ও পারানা রাজ্যের রাজধানী কুরিচিবায় ব্যবসা করেন ।