ব্রাজিলকে ২০১৬-১৭ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদের জন্যে বাংলাদেশ সমর্থন দিয়েছিল ।
২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
©ক্রাইম টিভি বাংলা ব্রাজিল ডেস্ক ♦
বাংলাদেশ–ব্রাজিল সম্পর্ক বলতে বাংলাদেশ ও ব্রাজিল এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বোঝায়। ব্রাজিল ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘকাল আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। ২০১০ সালে ব্রাজিলে বাংলাদেশের একটি দূতাবাস স্থাপন করা হয় এবং আবাসিক রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্রাজিলের দূতাবাস আছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।
২০১৩ সালে মানবাধিকার কাউন্সিলে ব্রাজিল বাংলাদেশের কাছে তাদের পক্ষে সমর্থন চেয়েছিলো। আবার ২০১৬-১৭ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদের জন্যেও বাংলাদেশের কাছে তারা সমর্থন চায়। ২০১৪ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও The Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination against Women-এ পদের জন্য ব্রাজিল বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন দেয়। বাংলাদেশও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার জন্য ব্রাজিলকে সমর্থন দেয়। সেই সময়ে ব্রাজিল বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিলো।
২০১১ সালে ব্রাজিল বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাত যেমন কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়া ইত্যাদিতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে একটি চুক্তি সই করতে প্রস্তাব দেয়। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য আগ্রহ ব্যাপ্ত করে।
২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রাজিল-এর প্রধান রপ্তানী পণ্য হলো কৃষি পণ্য, যেমনঃ চিনি। বাংলাদেশ ব্রাজিলে পাট, তৈরি পোশাক ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানী করে। বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ খাত, বিশেষ করে নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ও গ্রামীণ ব্যাংক ব্রাজিলিয়দের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল হিসেবে মনে করে।