ব্রাজিলে জানুয়ারি মাস থেকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে -প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো বলেছেন, টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে সরকার দায়ী নয়।
©ক্রাইম টিভি বাংলা অনলাইন ডেস্ক ♦
টিকা নিয়ে বিষোদ্গার করেই যাচ্ছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তিনি কোনো দায় নেবেন না বলেই জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো বলেছেন, টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে তাঁকে যেন দায়ী করা না হয়।
নিজের টিকা গ্রহণ সম্পর্কে জইর বলসোনারো বলেন, তিনি যেহেতু করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাই তাঁর টিকার কাজ হয়ে গেছে। এরপর যিনি টিকা নেবেন, তিনি যেন নিজের দায়িত্বেই তা নেন।
করোনাভাইরাসকে পাত্তা না দেওয়া বলসোনারো বরবারই টিকার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। কিছুদিন আগেই চীনের একটি টিকার পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টিকে নিজের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার করোনার টিকা নিজে নেবেন না বলে জানান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে এর আগেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
বলসোনারো টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি আপনাদের বলছি, আমি এটা নেব না। এটা আমার অধিকার।’
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রাজিলের অবস্থান। দীর্ঘদিন ধরেই বলসোনারো করোনা মহামারির গুরুত্বকে ছোট করে দেখেছেন। গত জুলাই মাসে অবশ্য তিনি নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
ব্রাজিলের সিনেট বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের একটি ডিক্রি অনুমোদন করেছে, যাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাটি কিনতে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।
সাও পাওলোর গভর্নর জো ও ডোরিয়া বলেছেন, এখানে জানুয়ারি মাস থেকে টিকাদান কর্মসূচি চালু করা হবে। দেশটির জাতীয় টিকা পরিকল্পনার আগেই সাও পাওলোতে টিকাদান শুরু করতে চান তিনি।
ডোরিয়া বলেছেন, ‘আমরা মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে যাচ্ছি না। আমরা আরও ব্রাজিলবাসীকে কবর দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করব না। আমরা জানুয়ারি পর্যন্ত ৬০ হাজার জীবন রক্ষা করতে পারি।’
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের নির্বাচনে ডোরিয়া লড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।