©ক্রাইম টিভি বাংলা অনলাইন ডেস্ক♦
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জিন সংশোধন (জেনেটিক্যালি মডিফাইড-জিএম) করা গম উৎপাদনের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির কৃষিমন্ত্রী লুই বাস্তেরা।
খবরে বলা হয়েছে, আর্জেন্টিনা বিশ্বের ৪র্থ গম রফতানিকারক দেশ। তবে দেশটি এখন আরও বেশি গম উৎপাদন করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা গমের জাত উন্নয়নে ব্যাপক গবেষণা চালু রেখেছে। এ নিয়ে দেশটির জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক কমিশন জানিয়েছে, তারা যে সংশোধিত জিনের গম অনুমোদন করেছে তা বিশ্বে প্রথম।
যদিও এ নিয়ে কিছু বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই গম উৎপাদনের পর তা নিয়ে গমের বাজারে একটা অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ ভোক্তারা এখনও জিন সংশোধিত গমের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না। অনেকেই মনে করছেন এর ফলে শারীরিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাদের। একই সঙ্গে অনেক বিশেষজ্ঞ এর পরিবেশগত প্রভাবের কথাও বলছেন।
যদিও আর্জেন্টিনা জানিয়েছে, তাদের এই সংশোধিত জাতের গম রফতানি প্রসঙ্গে ব্রাজিলের সঙ্গে কথা বলছে তারা। ঐতিহাসিকভাবে আর্জেন্টিনার গমের সব থেকে বড় বাজার ব্রাজিল। দেশটিতে মোট উৎপাদনের ৪৫ শতাংশ রফতানি করে আর্জেন্টিনা। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া, চিলি ও কেনিয়ায়ও আর্জেন্টিনার গমের বড় বাজার রয়েছে।
বর্তমানে দ্রুত জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও কৃষিজমির হ্রাসের কারণে ফসল উৎপাদন অনেকটা কমে গেছে। তাই ফলন বৃদ্ধির নতুন উপায় হিসেবে হাজির হয়েছে জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) প্রযুক্তি। মানুষের জন্য বেশি খাদ্য উৎপাদনের প্রয়োজনে যেসব খাদ্যদ্রব্য বা গাছের জিনগত পরিবর্তনকেই বলে জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফুড বা জিএম খাদ্য।
সব প্রাণীদেহ বা গাছের প্রত্যেক কোষে ডিএনএ থাকে। এই ডিএনএ’র একটা অংশকে জিন বলে। গাছের বৃদ্ধি, ফলন, কম বৃষ্টিতে বেঁচে থাকার ক্ষমতা ও ক্ষতিকর জীবাণু থেকে রক্ষা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যগুলোও জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
একটা গাছের জিনগত পরিবর্তন করা হয়। তার ডিএনএ’র মধ্যে অন্য জীবের (গাছ, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া) জিন ঢুকিয়ে। প্রকৃতিতে জিন ট্রান্সফার ব্যাকটেরিয়া থেকে গাছপালায় বা একটা গাছ থেকে অন্য গাছে সবসময় ঘটে চলেছে।