©ক্রাইম টিভি অনলাইন ডেস্ক♦
করোনার কারণে বাতিল ফ্লাইটের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিরোধীদল।
তারা এ দাবি করল এমন সময় যখন টানা সাত মাস ধরে এয়ারলাইন্সে অচলাবস্থা চলছে।
জুলাইয়ে কানাডার এয়ারলাইন্সগুলোতে যাত্রী চাহিদা সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ নেমে যায়। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি খুব কমই হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর দাবি, সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে অবশ্যই যাত্রীদের টিকিটে টাকা ফেরতের বিষয়টি থাকতে হবে। সিটিভি নিউজের খবর।
সিটিভিতে সাক্ষাত্কারে আন্তঃসরকার বিষয়কমন্ত্রী ডমিনিক লে ব্ল্যাঙ্ক বলেন, অটোয়ার রাজ্যের বিমান শেয়ার কেনাসহ একটি অর্থছাড়ের পথ খোলা রাখা হয়েছে। ট্রাভেল ভাউচারসহ যেকোনো সরকারি সহায়তা প্যাকেজের প্রত্যাশা করছে কোম্পানিগুলো।
কনজারভেটিভ দলের নেতা স্ট্যাফানি কুসি বলছেন, যদি এভিয়েশন সেক্টরে সহায়তা দেয়া হয় তাহলে তার মধ্যে অবশ্যই যাত্রীদের বাতিল টিকিটের টাকা ফেরতের বিষয়টি থাকতে হবে। এনডিপির নেতা নিকি অ্যাশটন বলেন, হাজার হাজার যাত্রী তাদের বাতিল ফ্লাইটের টিকিটের টাকা ফেরত পায়নি। অথচ তারা এই করোনাকালে পকেট থেকে টাকা খরচ করে টিকিট কেটেছে।
অ্যশটন বলছেন, যাত্রীদের টাকা ফেরত না দেয়াটা কোনো কোম্পানির জন্য ভাল হবে না। যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি কানাডিয়ান জব মার্কেটের সঙ্গে জড়িত।
ট্রান্সপোর্ট মিনিস্টার মার্ক গারনিউ বলেন, বর্তমান সময়টা এয়ারলাইন্স ও এয়ারপোর্টের জন্য কঠিন সময়। যাত্রীদের সুবিধা ও কর্মীদের চাকরি সুরক্ষায় সহায়তা প্যাকেজের পক্ষে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার সংকট সমাধানে কাজ করছি। আমরা এমন ব্যবস্থা নেব, যাতে নাগরিকরা নিজেদেরকে নিরাপদ মনে করতে পারে।
এদিকে আঞ্চলিক এয়ারলাইন্সগুলোও অটোয়ার কাছ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছে, যাতে কর্মী ছাঁটাই করা না লাগে। এয়ারপোর্ট অ্যাসোসিয়েশ অব কানাডার প্রেসিডেন্ট জন ক্যাককেনা বলেন, গত ছয় মাস ধরে সহায়তা প্যাকেজের ব্যাপারে সরকার কোনো সাড়া দেয়নি। খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সৃষ্টিকর্তাই জানেন এয়ারলাইন্স কিভাগে চলছে। তিনি যত দ্রুত সম্ভব সুদবিহীন লোনের ব্যবস্থা করার দাবি করেন সরকারের প্রতি।
সূত্র: সিটিভি নিউজ