©ক্রাইম টিভি বাংলা ডেস্ক♦
আব্দুলগফুর হাপিজ চীনের একজন কবি ও অধিকার কর্মী। তার আরেকটি পরিচয় হল তিনি একজন উইঘুর মুসলিম। কিন্তু চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের এই উইঘুর মুসলিম বাস করতেন অস্ট্রেলিয়াতে।
২০১৬ সাল থেকেই নিখোঁজ ছিল হাপিজ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে কোন কিছুই জানাননি চীনা কর্তৃপক্ষ। পরিবারের পক্ষ থেকে কম চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু ফলাফল যেন শুন্য।
পরে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড/ইনভলান্টারি ডিজএপেরেন্স (ডব্লিউজিইআই ডি)। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানও এই বিষয়ে অনেক ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছুই বলা হচ্ছিল না।
কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের এই সংস্থাটিকে জানানো হয়েছে যে, কাশঘরের প্রাক্তন এই গাড়ি চালক ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, এই প্রতিবেদনে হাপিজকে গাড়ি চালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেইসাথে মৃত্যুর কারণ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, নিউমোনিয়া এবং যক্ষাকে।
কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে এখনো অস্বীকার করা হয়েছে। তার মেয়ে জানায়, তার বিশ্বাস তার বাবাকে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জিনজিয়াং ডিটেনশন ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। সেইসাথে তার বাবার নিউমোনিয়া ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে উইচ্যাটে একটি ভয়েজ মেসেজ পাঠান আব্দুলগফুর হাপিজ। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে তার মেয়েকে দ্রুত কল করার অনুরোধ জানান। কিন্তু কল করা হলে, হাপিজ আর কল ধরেননি। আর এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল হাপিজ। আর এই ঘটনার এত বছর পর চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়।