©ক্রাইম টিভি বাংলা ডেস্ক ♦
পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর মৎস্য ভবন থেকে আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে এসেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ঢামেক জরুরি বিভাগে ডিবির কয়েকজন সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। তাকে ডিবি হেফাজতে চিকিৎসা করা হলেও তিনি আটক কি না এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করেনি ডিবি।
এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগেও তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘নুরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে’। তবে পৌনে ১০টার দিকে ডিবির দুইটি মাইক্রোবাস ঢামেকে আসে এবং সেখানে নুরসহ আরেকজন শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এসআই বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘নুর ঢামেক জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন’।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাদী শিক্ষার্থী ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন।
নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।