আগুনে ভস্মীভূত গ্রিসের বৃহত্তম অভিবাসী শিবির -দ্বীপজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি ।
লেসবস দ্বীপের মরিয়া শিবিরের লোক ধারণক্ষমতা মাত্র দুই হাজার ৮০০। কিন্তু সেখানে থাকছিল প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ আফগানিস্তানের। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০টি দেশের অভিবাসীর বাস ছিল ওই শিবিরে।
©ক্রাইম টিভি বাংলা অনলাইন ডেস্ক ♦
গ্রিসের বৃহত্তম অভিবাসীশিবিরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই অগ্নিকাণ্ড নাশকতামূলক কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। লেসবস দ্বীপের মরিয়া শিবিরের লোক ধারণক্ষমতা মাত্র দুই হাজার ৮০০। কিন্তু সেখানে থাকছিল প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ আফগানিস্তানের। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০টি দেশের অভিবাসীর বাস ছিল ওই শিবিরে। মানবেতর পরিবেশের ওই শিবিরে গত মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগে। গতকাল বুধবারও সেখানে কোথাও কোথাও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
আগুনে কারো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে অগ্নিকাণ্ডজনিত ধোঁয়ায় অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগেছে। আগুনকবলিত শিবির থেকে লোকজন পালিয়ে পাশের শহরে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের হামলার শিকার হয় বলে জানায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
মরিয়া শিবিরে ৩৫ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয়ে তাদের সপরিবারে আইসোলেশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা আইসোলেশনে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় সেখানে আগুন লাগে।
এটা নাশকতা কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে—এমনটা জানান গ্রিস সরকারের মুখপাত্র স্তেলিওস পেসতাস। তিনি আরো জানান, দ্বীপজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। এ জন্য গতকালই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে বসার কথা। আগুন লাগার কারণে সেখানে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা সামাল দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বাড়তি দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কনস্তানতিনোস থিওফিলোপাউলিস জানান, অল্প সময়ের বিরতিতে মরিয়া শিবিরের তিন জায়গায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে শিবিরের বাসিন্দারা বাধা দেয়। মহামারি নিয়ন্ত্রণে সেখানে জারি করা কঠোর স্বাস্থ্যবিধির বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ করছিল, তারাই আগুন নেভাতে বাধা দেয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাদের হটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের ২৫ কর্মী, ১০টি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। শরণার্থী সহযোগিতা সংস্থাগুলো জানায়, লেসবস দ্বীপের অভিবাসীশিবিরগুলোর মধ্যে মরিয়া শিবিরের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।